
আর্সেনাল এবং লিভারপুলের প্রাক্তন মিডফিল্ডার অ্যালেক্স অক্সলেড-চেম্বারলেন নे খুলাসা করে বলেছেন যে তার লক্ষ্য ইংলিশ ক্লাবে ফিরে আসা
৩২ বছরের চেম্বারলেন অগস্ট মাসে বেশিক্তাশের সাথে চুক্তি বাতিল করার পর থেকে কোনো ট্রানের সদস্য হয়নি। তিনি বর্তমানে নিজের ফিটনেস বজায় রাখতে আর্সেনালের ইউ২১ স্কোয়াডের সাথে ট্রেনিং করছেন।
সম্প্রতি মিডিয়ার সামনে হাজির হয়ে নিজের ভবিষ্যৎ নিয়ে কথা বলার সময়,চেম্বারলেন বলেছেন:“এটা আমার জন্য একটি ভিন্ন স্থিতি। লিভারপুল ছেড়ে যাওয়ার সময়ও আমি ফ্রি এজেন্ট ছিলাম,কিন্তু সেটা মাত্র এক বা দুই মাস পর্যন্ত চলে,এবং সিজন শুরু হওয়ার পর ১৪ অগস্টে আমি তুর্কি ক্লাবের সাথে সাইন করেছিলাম। এখন এটা ভিন্ন — সিজন পুরোপুরি চলছে। এই অপেক্ষা করার সময়টা কঠিন;তোমরা সুযোগগুলো হারিয়ে ফেলো এবং খেলতে ইচ্ছা করো。”
“কোনো খিলाड़ीর জন্য এটা সহজ নয়,কিন্তু ভাগ্যক্রমে এখন আমার কাছে বিকল্প আছে। আমি কিছু অফার বাতিল করেছি এবং এই দিনগুলো আরও বেশি কারণের উপর ভাবতে হবে:পারিবার্শ্ব,বাচ্চারা — আমাকে আরও সতর্কতার সাথে পছন্দ করতে হবে। কিন্তু আমার মূল লক্ষ্য যত তাড়াতাড়ি সম্ভব মাঠে ফিরে আসা।”
“যদিও তোমরা সক্রিয়ভাবে সুযোগ সন্ধান করতে পারো,কিন্তু মূলত তোমরা শুধুমাত্র নিষ্ক্রিয়ভাবে অপেক্ষা করতে পারো。 তোমরা এমন একটি ক্লাবের অপেক্ষা করো যে ভাবে তোমরা মূল্য যোগ করতে পারো,এবং বেশিরভাগ সময় অপেক্ষায় ব্যয় হয়।”
যখন তাদের কাছে প্রশ্ন করা হয়েছিল কি তাদের কাছে কোনো অফার এসেছে কি না,চেম্বারলেন উত্তর দিয়েছেন:“হ্যাঁ,কিন্তু বেশিরভাগই বিদেশী ক্লাবের থেকে।”
“আমি দুই বছর বিদেশে খেলেছি,এবং পারিবার্শ্বের দিক থেকে এটা কঠিন ছিল। এমন সময়ও ছিল যখন আমি ছয় থেকে আট সপ্তাহ পর্যন্ত নিজের ছেলে ও স্ত্রীকে দেখতে পারিনি,এবং আমার মাতা-পিতার জন্য শायদই সময় ছিল — এমনকি যদি আমি এক বা দুই দিনের জন্য ইংল্যান্ডে ফিরে আসি,তাও সেটা মাত্র একটি দ্রুত দর্শন ছিল। আমি এমন কিছু দোহারানো চাই না। আমি ইংল্যান্ডে ফিরে আসতে চাই এবং সঠিক দেশীয় সুযোগের অপেক্ষা করছি।”
“যখন তোমার বাচ্চা হয়, তোমার জীবনের অগ্রাধিকার পরিবর্তন হয়। এখন এটা শুধুমাত্র আমি এবং ফুটবল নয়;আমাকে পারিবার্শ্বের সাথে ভারসাম্যও বজায় রাখতে হবে। আমি কিছু অনুপযুক্ত অফার বাতিল করেছি,যা আমার বিকল্পগুলো সংকীর্ণ করেছে। এখন আমি সেই সঠিক প্রজেক্টের অপেক্ষা করছি যা আমাকে উত্সাহিত করবে,আমি আশা করি যে তাৎক্ষণাৎ প্রভাব ফেলতে পারব।”




